পুনাক কুষ্টিয়া’র উদ্যোগে মা ও শিশু পূর্ণ বাসন কেন্দ্রে মৌসুমী ফল ও ঔসধ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টায় পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক), কুষ্টিয়ার উদ্যোগে কুষ্টিয়া সদর থানাধীন সার্কিট হাউজের সামনে পূর্বমজমপুর এলাকায় উদয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ‘মা ও শিশু পূনর্বাসন কেন্দ্রে’র বৃদ্ধ মা’দের মাঝে মৌসুমি ফল ও ঔষধ বৃদ্ধা মায়েদের হাতে তুলে দেন।
সে সময় মা ও শিশু পূর্ণ বাসন কেন্দ্রের বৃদ্ধ মায়েরা বলেন,’সেই কবে ফল খেয়েছি বাবা মনে পড়ে না’ কুষ্টিয়ার মানবিক পুলিশ সুপার খায়রুল আলমের সহধর্মিণী ও পুনাক কুষ্টিয়ার সভানেত্রী দিলরুবা আলম আজ শহরের মজমপুরে বৃদ্ধাশ্রমে হরেক রকম মৌসুমী ফলের ঝুঁড়ি নিয়ে পরম মমতায় নিজেই ছুটে যান তাদের মাঝে। বৃদ্ধা মায়েরা মৌসুমী সব ফল এক সাথে পেয়ে অবাক হন। এত ফল কখনও খাইনি। সেই কবে ফল খেয়েছি বাবা মনে পড়ে না। অভাবের সংসারে দুবেলা ভাত পেতাম না, সেখানে ফল খাবো কি করে?’
প্রধান অতিথি হিসেবে এ মহতি কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন পুনাক কুষ্টিয়ার সভানেত্রী ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলমের সহধর্মিণী দিলরুবা আলম।
পরিবার থেকে বিতাড়িত অবহেলিত অসহায় মা’দের মাঝে কুষ্টিয়া পুনাক সভানেত্রী নিজেই মমতার সহায়তা হিসেবে মৌসুমি ফল নিয়ে হাজির হন এবং আপন ভেবে বৃদ্ধ মহিলাদের কাছে টেনে নিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন। পুনাক সভানেত্রী পূনর্বাসন কেন্দ্রের সকলের সাথে মতবিনিময়ের সময় এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের সকল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসকারী গরীব, অসহায় ও দুস্থ মহিলাদের খাদ্যসামগ্রী, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে পারেন এবং তাদের পাশে থেকে সেবা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মোসুমী ফল ও ঔষধ বিতরণের সময় পুলিশ সুপার কুষ্টিয়ার সহধর্মিণী ও পুনাকের সভাপতি দিলরুবা আলমের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাংবাদিক নেত্রী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, খায়রুন নেসা, সাধারণ সম্পাদিকা ও কোষাধ্যক্ষ (সহধর্মিণী, সদ্য পদন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান), আনিতা আশরাফী দিবা, দপ্তর সম্পাদকা (সহধর্মিণী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রশাসন ও অর্থ মোঃ রাজিবুল ইসলাম) ও পুনাক কুষ্টিয়ার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এ সময় কুষ্টিয়া পুনাক সভানেত্রী দিলরুবা আলম বলেন, আমদের যাদের সাহায্য করার সক্ষমতা আছে, সকলের উচিৎ বৃদ্ধা মায়েদের পাশে থেকে তাদের সেবা যত্ন করা এবং তাদের খোঁজ খবর রাখা। সকলেই যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন, তাহলে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা মা’রা আরো বেশী ভালো থাকবেন। এই মায়েরাই আমাদের পৃথিবীর আলোর মূখ দেখিয়েছে।