কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় উদয় মা ও শিশু পূণর্বাসন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার পূর্ব মজমপুরে বয়ষ্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসরত ৩০ জন বৃদ্ধা মায়ের খাবারের ব্যবস্থা করেন (বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত- ২০২১) ড. সারিয়া সুলতানা। সেখানে গিয়ে বৃদ্ধ মায়েদের সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সময় কাটিয়েছেন তিনি। সভার আয়োজন করেন ’উদয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’, কুষ্টিয়া । উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার দুই কৃতি সন্তান লেখক ও গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এমদাদ হাসনায়েন। আরো উপস্থিত ছিলেন, উদয় মা ও শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইফতিখার হোসেন মিঠু ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আফরোজা ইসলাম প্রমূখ। ড. সারিয়া তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন – বেগম রোকেয়া পদক পাওয়ার পর প্রথম মনে হয়েছিল আমি আমার জান্নাত দেখতে যাবো কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। হৃদয়টা ব্যাকুল হয়ে ওঠেছিল অবশেষে মহান আল্লাহ আমাকে সেই তৌফিক দিলেন। জন্মদিনটা আজ আশ্রমে পালন করলাম এক ঝাঁক হৃদয় পোড়া মায়ের মমতায়, দিনটি সুখময় থেকে মধুময় হয়ে হয়ে ওঠলো কি বিচিত্র ভালোবাসার লেনাদেনা! সমাজে আজ যৌথ পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, একক পরিবার গঠনের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মত্ত এক শ্রেণীর আধুনিক চিড়িয়াখানায় বসবাসরত কতিপয় নামধারী মানুষেরা। শিক্ষিত হয়েছে কিন্তু বাবা মাকে কাছে রাখার চরম শিক্ষাটা হয়তো অনুর্বর ভূখণ্ডে পুঁতে ফেলতে হয়েছে যেখান থেকে কোন ভালোবাসা জন্মাবেনা কখনো কোনদিনও। এক ঝাঁক মায়েদের দীর্ঘ আর্তনাদ হৃদয়ের কঠিন বন্ধন ছিন্ন করে এসেছে, নারীর বন্ধনকে অস্বীকার করে আজ যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাও,জেনে রাখো প্রকৃতির বিচারে একদিন তোমাকেও ঐ বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। মায়েদের জন্য ভালো আবাসনের ভীষণ প্রয়োজন। এছাড়া তিনি সমাজের সুহৃদয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মায়েদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সারিয়া আরো বলেন, আজ তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এবং একবেলা খাওয়াতে পেরে আমার নিজের মধ্যে একটি তৃপ্তি পেয়েছি। মনের মধ্যে একটা শান্তি অনুভব করছি।